adstr

Wednesday, June 14, 2017

ভালো বক্তা হতে হলে আপনাকে যা করতে হবে







ভালো বক্তা হতে হলে আপনাকে যা করতে হবে



মানুষের প্রকাশ করার প্রবনতা সবচে’ বেশি। নিজেকে প্রকাশ করতে কে না চায়।সবাই চায় নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে সুন্দর করে কথা বলা, ভাব প্রকাশে সৌন্দর্য্য। এই কাজ খুব কঠিন কিছু নয়। সুন্দর কথা বলার জন্য নিজের চেষ্টা আর সামান্য কিছু গাইডলাইন ই যথেষ্ট।

অনেকেই আছেন খুব সুন্দর মনের মানুষ, দেখতেও অনেক সুন্দর কিন্তু তিনি ভাল কথা বললেও যিনি শুনছেন তাঁর রাগ উঠে যায়। নিজেকে নিজে তিনি বোঝাতে পারেন না যে কী করবেন! তাই তাঁর সব কিছুতেই অস্থির লাগে। মন ভাল হলেও তিনি ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিতি পান না। কিংবা সমাজে তার নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে হয়। বন্ধু মহলে কেউ তাকে জায়গা দেন না। শুধুমাত্র কিভাবে সুন্দর করে কথা বলতে হয় সেটা না জানার জন্যে।
ভালো বক্তা হতে হলে যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আপনাকে আয়ত্ব করতে হবে কিছু টিপস ফলো করতে হবে

আপনি খুব ভালো বক্তা তারপরও যখন আপনি বক্তব্য দেন মাঝে মাঝে লক্ষ্য করেছেন সবাই যেন ঠিক মনোযোগ সহকারে আপনার সমস্ত কথা শুনছে না, যদি আপনার ক্ষেত্রে এমনটা কখনো হয়ে থাকে অথবা আপনি ভালো একজন বক্তা হিসেবে সবার সামনে নিজেকে তুলে ধরার জন্য নিজেকে তৈরি করতে চান তাহলে নিচের বিষয়গুলো আপনার কাজে লাগবে।

জনপ্রিয়তা অর্জন করতে কয়েক মিনিটের একটি ভালো বক্তব্যই যথেষ্ট। প্রকৃতপক্ষে, ভালো মানের একজন বক্তা হওয়া অনেক কঠিন একটি কাজ। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই! নিয়মিত অনুশীলন এবং চর্চাই আপনাকে ভাল বক্তা হতে সহায়তা করবে। এছাড়াও কিছু টিপস নিচে তুলে ধরলাম যা আপনাকে ভালো মানে বক্তা হতে সহায়তা করবে।

নিচে দেখে নিন ভালো বক্তা হওয়ার জন্য কোন ৮টি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আপনি আয়ত্ত্ব করবেনঃ

চোখে চোখ রাখুন-

চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন
ভালো বক্তা হওয়ার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হচ্ছে, শ্রোতার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা। প্রথম দিকে আপনার অস্বস্তি হবে, তখন চোখ সরিয়ে শ্রোতার মাথার ওপরের দিকে তাকান। ধীরে ধীরে যখন চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলাটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। যারা আপনার বক্তব্য শুনছে, চেষ্টা করুন যতবেশী সম্ভব শ্রোতাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে। সাধারনত মানুষ অধিকতর মনোযোগী হয় যখন কেউ তার চোখে চোখ রেখে কথা বলে।



বিষয় ঠিক করুন
কারও সঙ্গে কথা বলার সময় এলোমেলো বিচ্ছিন্ন ধরনের কথা না বলে সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলুন। বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত বিষয়ের ওপর ফোকাস করা ভীষণ জরুরি। ক্রমাগত এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে গেলে কথার খেই হারিয়ে ফেলবেন, বাজে হয়ে যাবে আপনার বক্তব্য।



আত্মবিশ্বাসী হোন-

আপনার ব্যাক সাইট সোজা রেখে, দু-বাহু খুলে দিয়ে, বুক সোজা করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কথা বলুন। মানুষের মনে হবে আপনি তাদের সামনে নতুন কোন দরজা খুলে ধরছেন। আর সবসময়ই মানুষ আত্মবিশ্বাসী কারো কথা শুনতে বেশী মনোযোগী হয়।

কণ্ঠস্বরে বৈচিত্র্য আনুন
পুরো বক্তব্যজুড়ে একই কণ্ঠস্বর শুনতে শুনতে শ্রোতারা ক্লান্ত হয়ে যায় খুব সহজেই। তাই কণ্ঠস্বরের ওঠানামা করুন। যেখানে দরকার সেখানে কণ্ঠস্বরের ওঠানামা আপনার বক্তব্যকে প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে। শ্রোতারাও ক্লান্ত হয়ে পড়বে না সহজে।



মাঝে মাঝে শ্রোতাদের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুড়িয়ে আনুন -

স্ক্রীনের দিকে অথবা হতে পারে দেয়ালের কোন ছবি অথবা কোন লেখা, সেটা নিয়ে আগেই কোন কিছু বলার জন্য তৈরি থাকুন। আপনার বক্তব্যের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে ওই ছবি অথবা লেখার দিকে আপনি দৃষ্টি আকর্ষন করুন সেই সাথে অন্যদের দৃষ্টিকেও ঘুরিয়ে আনুন। এই একটু চেঞ্জ এর মাধ্যমে যারা একটু অমনোযোগী হতে শুরু করেছিল তাদের মনোযোগ আবার আপনার ফিরাতে পারবেন।

সাজিয়ে লিখুন
যখন আপনি দীর্ঘ বক্তব্য দিতে যান তার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সব বিষয় সাজিয়ে লিখে ফেলুন একটা কাগজে। যখন একই বক্তব্যে অনেক বিষয় তুলে ধরবেন তখন কোন বিষয়টির পর কোনটি তুলে ধরবেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সাজিয়ে ফেলুন। বক্তব্যের শুরু এবং শেষ অংশটা ইন্টারেস্টিং হওয়া খুব জরুরি।

শারিরীক পরিভাষা ব্যবহার করুন-

বক্তব্য দেবার সময় পজিটিভ বডি মুভমেন্ট করান যেমন- মাঝে মাঝে হাসির ধরন অল্প সময়ে জন্য বদলে নিন, কোন কোন জায়গায় মাথা হালকা ঝুকিয়ে নড করুন, কেউ ভালো কিছু বললে হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে ওকে দেখাতে পারেন।

কিছুটা হাটুঁন-

আপনি যখন দাড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন, যদি আপনার হাটার সুযোগ থাকে তবে সেই সুযোগটা নিন। ধরুন আপনার ৩টা পয়েন্ট আছে সবার সামনে উল্লেখ করার আপনি আপনার প্রথম স্থানে দাড়িয়ে ২টা পয়েন্ট বলুন তারপর ২/৩ পদক্ষেপ একটু নড়ে গিয়ে বাকি পয়েন্ট উল্লেখ করুন।

ছোট করে দম আটকে রাখুন-

আপনার বক্তব্য শেষ করার পর যদি কোন প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকে, তাহলে প্রশ্ন উত্তর এর ক্ষেত্রে যখন আপনি কারো কোন কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন, ছোট করে দম একটু আটকে রেখে প্রশ্নকারীর চোখের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিন। আপনার এই ছোট করে দম আটকানোর সময়টুকুতে আপনি ভেবে নেবার সুযোগ পাবেন আপনার উত্তরটি কি দেয়া উচিত।

শান্ত থাকুন প্রেজেন্টশান এর উপর আপনার কন্ট্রোল রাখুন-

যা কিছু সমস্যাই হোক না কেন অথবা যতটুকু জটিল প্রশ্নের সম্মুখীনই আপনি হোন না কেন শান্ত থাকবেন ভুলেও উত্তেজিত হবেন না, আপনি শান্ত থাকলেই আপনাকে আত্মবিশ্বাসী মনে হবে এবং আপনি পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন।

মুখে হাসি রাখুন-

আপনার মুখে একটি স্মিত হাসি ধরে রাখুন সবসময়, এতে আপনার অডিয়েন্স কমর্ফোট অনুভব করবে। সবসময় মনে রাখবেন মানুষকে সহজ করতে হাসির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র নেই।









ধীরস্থির হোন
আপনি যা বলতে চান তা খুব দ্রুত হড়বড় করে বলতে গেলে কথা জড়িয়ে ফেলবেন। শ্রোতারাও কনফিউজড হয়ে যাবে। তাই দীর্ঘ একটা শ্বাস নিন, তারপর ধীরস্থিরভাবে স্পষ্টভাবে আপনার বক্তব্যটা তুলে ধরুন। আপনার প্রতিটি শব্দ যেন শ্রোতাদের কাছে স্পষ্টভাবে পেঁৗছায় সেদিকে নজর রাখুন।
অন্যকে আঘাত করবেন না
আপনার বক্তব্যে অন্য কোনো ব্যক্তি, সমাজ, জাতি কিংবা ধর্মকে আঘাত করবেন না। বিনয়ী হোন, অন্যের আবেগ অনুভূতির জায়গাগুলোকে সম্মান করুন, তাহলে বক্তা হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।

নিজস্বতা বজায় রাখুন
আপনি যে বিষয় নিয়েই কথা বলুন না কেন বক্তব্যে আপনার নিজস্বতা বজায় রাখুন। মনে রাখবেন, আপনার সামনের শ্রোতারা আপনার কথা, আপনার ধারণা, আপনার চিন্তাচেতনার ভাগ নিতে এসেছে। তাই সবসময় বক্তব্যে নিজস্বতা বা মৌলিকতা বজায় রাখুন।

আশাকরি উপরের কৌশল গুলো মেনে চললে আপনিও দিনে দিনে ভালো মানের বক্তা হয়ে উঠতে পারবেন।

Tutorial begging

No comments:

Post a Comment

Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.

a ads

Popular Posts

ads